Jul 30, 2023

প্রশ্নটি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরঃ পৃথিবীতে যুদ্ধের মন্ত্রণালয় থাকলে শান্তির মন্ত্রণালয় কেন থাকবে না?

 

হয়তো এই আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়ে তিনি আবারো শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাবার চেষ্টা করছেন? 
তা তিনি করতেই পারেন, দেশের মানুষ যেহেতু মামলা হামলার উপর রেখেছে তাই নতুন নতুন আইডিয়া জেনেরেট করে বিশ্ব দরবারে চমক সৃষ্টি করতে তো আর কেউ বাঁধা দিচ্ছে না। এছাড়া পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন বা ছিলেন যারা আইডিয়াবাজিতে অনন্য, তাঁদের কথা শুনে মুগ্ধ হতে হয়, তাঁরা কঠিন কোন বিষয়কে পানির মতো সহজ করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারঙ্গম। তাঁরা যাই বলেন বা লেখেন ভক্ত সমর্থকদের কাছে তা চিরন্তন বাণী হিসেবে গৃহীত হয়, তাঁরা ব্যক্তিজীবনে হয়তো খুব বেশি অনুকরণীয় নন কিন্তু ব্যক্তি গন্ডির বাইরের মানুষের কাছে তুমুল আদর্শবান এবং অনুসরনীয় হয়ে থাকেন।


ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আপনি পছন্দ না করলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর লেখা বই, প্রবন্ধ, বক্তৃতা সমূহের প্রচার প্রচারণা কিন্তু থেমে নেই। তিনি আমাদের কাছে “গোয়ালের পাশের ঘাস”, তাঁকে আমরা মূল্যায়ন করবো না এটা খুবই স্বাভাবিক। আমিও তাঁর পাঁড় ভক্ত নই, মানুষটাকে আসলেই কেমন যেনো অতি বুদ্ধিমান মনে হয় আমার কাছে! আমি বাঙ্গালী হিসেবে তাঁকে হিংসে করবো না তা হতেই পারে না, তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নোবেল পেয়েছেন এটাও আমার হিংসা করার আর একটি কারন! তবে আমি তাঁর ক্ষুদ্র ঋণ, সামাজিক ব্যবসা ও শান্তির মন্ত্রণালয় ধারনাগুলোকে পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য অন্যতম সমাধান হতে পারে বলে মনে করি। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন ফকির এমনকি আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ্য বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। তাঁরা কেউ কিন্তু নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্য থেকে কখনো সরে যাননি। এটা চিরন্তন সত্য “সমালোচনা যতো, সম্ভাবনাও তত”। আমরা যদি সত্যিকার শান্তির পৃথিবী চাই তাহলে আমাদের ভাবনায় যুদ্ধ ও হিংসাকে পরিত্যাজ্য করা জরুরি, যুদ্ধবাজি ও হিংসাত্মক মনোভাব বজায় রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলা খুবই হাস্যকর।

সূত্রঃ দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার অনলাইন ভার্সন